বাসা বদলানোর সময় সাধারণ ভুলগুলি এড়িয়ে চলুন | জরুরি টিপস

featured image

বাসা বদলানো নিঃসন্দেহে একটি ক্লান্তিকর এবং সময়সাপেক্ষ কাজ। নতুন বাসায় যাওয়ার উত্তেজনা এবং পুরোনো বাসা ছেড়ে যাওয়ার আবেগের মধ্যে অনেক কিছুই ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। এই ভুলগুলো থেকে আসতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা, যা বাড়তি চাপ এবং খরচ তৈরি করতে পারে। তাই, বাসা বদলানোর আগে ভালোভাবে পরিকল্পনা করে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।

এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো, বাসা বদলানোর সময় যেসব বিষয়গুলো আমরা প্রায়ই ভুলে যাই এবং কীভাবে এই ভুলগুলো এড়িয়ে নতুন বাসায় সহজে অভ্যস্ত হওয়া যায়।

বাসা বদলের সময় করা ভূলগুলো

১. পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্ডবোর্ড বক্স না রাখা

বাসা বদলানোর সময় প্রথম যে বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন, তা হলো যথেষ্ট পরিমাণে কার্ডবোর্ড বক্স। প্রায়শই আমরা ভাবি, কিছু ব্যাগ বা হাতের কাছে থাকা বক্স দিয়ে কাজ সেরে নেওয়া যাবে। কিন্তু যখন সত্যিই জিনিসপত্র গুছানোর পালা আসে, তখন বোঝা যায়, বক্সের অভাব বড় সমস্যা হতে পারে।

বেশি বক্স কেন প্রয়োজন?

বাসা বদলানোর সময় আপনি যতটা ভাবেন তার চেয়েও বেশি বক্সের প্রয়োজন হতে পারে। কাপড়, বই, কিচেন আইটেম এবং অন্যান্য জিনিস একসাথে প্যাক করতে হলে বক্সের চাহিদা বেড়ে যায়।

কীভাবে এ সমস্যা সমাধান করবেন?

আগে থেকে বিভিন্ন সাইজের পর্যাপ্ত কার্ডবোর্ড বক্স সংগ্রহ করা। বাজারে বিভিন্ন শপিং মল বা মুদি দোকানে এসব বক্স পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনেও এগুলো পাওয়া যায়। এছাড়াও যদি আপনি পেশাদার ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস যেমন Lalamove ব্যবহার করেন, তাদের কাছ থেকেও প্যাকিংয়ের জন্য বক্সসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যায়।

 

২. জিনিসপত্রের তালিকা না করা

বাসা বদলানোর সময় অনেকেই পরিকল্পনাহীনভাবে জিনিসপত্র গুছাতে শুরু করে। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হারিয়ে যায় অথবা ভেঙে যায়। কোনো তালিকা না করার কারণে পরে কোন জিনিস কোথায় রাখা হয়েছে, তা খুঁজে পেতে ঝামেলায় পড়তে হয়।

সমাধান: প্রতিটি রুমের জিনিসপত্রের আলাদা তালিকা তৈরি করা এবং সেই অনুযায়ী প্রতিটি বক্স বা ব্যাগে জিনিস গুছানো। প্রতিটি বক্সের গায়ে নম্বর বা লেবেল লাগিয়ে রাখলে খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। তাছাড়া, লিস্টটি মোবাইল বা কাগজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

 

৩. টুলস না রাখা বা হারিয়ে ফেলা

বাসা বদলানোর সময় ছোটখাটো টুলস যেমন স্ক্রুড্রাইভার, হ্যামার, প্লায়ার ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। প্রায়ই দেখা যায়, বাসার বিভিন্ন আসবাবপত্র বা ইলেকট্রনিক্স আইটেম আনপ্যাক করার সময় এইসব প্রয়োজনীয় টুলস হাতের কাছে থাকে না।

কীভাবে টুলস নিরাপদে রাখবেন?

একটি নির্দিষ্ট বক্স বা ব্যাগে টুলসগুলো রাখুন এবং সেটি চিহ্নিত করে রাখুন। বাসা বদলানোর সময় পেশাদার প্যাকিং সার্ভিস নিলে তাদেরও বলুন টুলসগুলো সুরক্ষিতভাবে প্যাক করতে।

 

৪. আবর্জনা ব্যবস্থাপনা ভুলে যাওয়া

পুরোনো বাসা ছেড়ে যাওয়ার সময় অনেক আবর্জনা তৈরি হয়—যেমন, ভাঙা আসবাবপত্র, পুরোনো কাগজপত্র, অপ্রয়োজনীয় জামাকাপড় ইত্যাদি। এইসব জিনিস কীভাবে ব্যবস্থাপনা করবেন, তা অনেকেই আগে থেকে চিন্তা করে না। বাসা বদলানোর সময় শেষে যখন সমস্ত জিনিসপত্র বেরিয়ে আসে, তখন আবর্জনার পাহাড় জমে যায়।

সমাধান: বাসা বদলানোর এক সপ্তাহ আগে থেকেই অপ্রয়োজনীয় জিনিস আলাদা করা শুরু করা উচিত। রিসাইকেল করা সম্ভব এমন জিনিস রিসাইকেল করা, অন্যথায় এগুলো ফেলে দেওয়া উচিত। পুরোনো কাগজপত্র বা প্লাস্টিকের জিনিসপত্র আলাদা করে আবর্জনা সংরক্ষণস্থানে নিয়ে যেতে পারেন।

 

৫. ইলেকট্রিসিটি এবং ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে চিন্তা না করা

নতুন বাসায় গিয়েই বিদ্যুৎ, গ্যাস বা ইন্টারনেট সংযোগের ঝামেলা পড়তে হয়, কারণ অনেকে এই বিষয়গুলো নিয়ে আগে থেকে ভাবেন না। বাসা বদলানোর পর নতুন বাসায় গিয়ে যদি এইসব প্রয়োজনীয় সেবা না পান, তবে খুবই অসুবিধায় পড়তে হবে।

সমাধান: বাসা বদলানোর কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ইন্টারনেট, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। নতুন বাসায় যাওয়ার আগেই এসব সেবা সংযোগের ব্যবস্থা করে রাখলে সমস্যা এড়ানো যাবে।

 

৬. নতুন বাসার ঠিকানা সবার সাথে শেয়ার না করা

বাসা বদলানোর সময় অনেকেই নতুন বাসার ঠিকানা তাদের প্রয়োজনীয় লোকজন বা সার্ভিস প্রোভাইডারদের জানাতে ভুলে যায়। এতে পরবর্তী সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কুরিয়ার বা ডেলিভারি মিস হতে পারে।

সমাধান: বাসা বদলানোর আগে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, অফিস এবং অন্যান্য সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে আপনার নতুন ঠিকানাটি শেয়ার করে রাখুন। বিশেষ করে আপনার ব্যাংক, ই-কমার্স সাইট, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস যেখানে আপনার ঠিকানার প্রয়োজন হতে পারে, সেখানে ঠিকানা আপডেট করে রাখতে ভুলবেন না।

 

৭. বাসা বদলানোর সময়ে ব্যক্তিগত আইটেম ভুলে ফেলা

বাসা বদলানোর সময় ছোটখাটো ব্যক্তিগত জিনিস যেমন চাবি, মানিব্যাগ, মোবাইল চার্জার, প্রয়োজনীয় নথি ইত্যাদি ভুলে ফেলা খুব সাধারণ ঘটনা। এই জিনিসগুলো হারিয়ে ফেললে পরে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

সমাধান: বাসা বদলানোর আগেই একটি ছোট ব্যাগে আপনার প্রয়োজনীয় সব ব্যক্তিগত জিনিস যেমন চাবি, পরিচয়পত্র, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, এবং অন্যান্য দৈনন্দিন ব্যবহারের সামগ্রী আলাদা করে রাখতে হবে।

 

৮. বাসা পরিস্কার না করে চলে যাওয়া

অনেকেই বাসা বদলানোর সময় পুরোনো বাসাটি পরিস্কার করে যায় না। এতে পরবর্তী মালিক বা ভাড়াটিয়ার জন্য অসুবিধা সৃষ্টি হতে পারে এবং আপনার ভালো ইম্প্রেশনও নষ্ট হতে পারে।

সমাধান: বাসা ছেড়ে যাওয়ার আগে সব জিনিসপত্র গুছানোর পর বাসাটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে যেতে হবে। পুরোনো বাসায় যদি কিছু মেরামতের প্রয়োজন হয়, তাহলে সেটিও ঠিক করে যাওয়া উচিত।

 

৯. বাসা বদলানোর পেশাদার সার্ভিস না নেওয়া

অনেকেই বাসা বদলানোর সময় পেশাদার সার্ভিস ব্যবহার না করে নিজেরাই সব কিছু গুছানোর চেষ্টা করেন। এতে সময় এবং পরিশ্রম দুটোই বেশি লাগে, আবার কোনো কিছু ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

সমাধান: পেশাদার সার্ভিস যেমন Lalamove ব্যবহার করা যেতে পারে। এরা বাসা বদলানোর জন্য দক্ষ এবং নিরাপদ সার্ভিস প্রদান করে। তারা প্যাকিং, লোডিং, এবং আনলোডিংয়ের কাজগুলো দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করে থাকে। Lalamove-এর মতো পেশাদার সার্ভিস ব্যবহার করলে বাসা বদলানোর প্রক্রিয়া অনেক সহজ এবং ঝামেলামুক্ত হয়ে যায়।

 

১০. বাচ্চাদের এবং পোষা প্রাণীদের জন্য পরিকল্পনা না করা

যদি আপনার ছোট বাচ্চা বা পোষা প্রাণী থাকে, তাহলে বাসা বদলানোর সময় তাদের নিয়ে বিশেষ চিন্তা করা প্রয়োজন। অনেক সময় বাচ্চাদের বা পোষা প্রাণীদের নতুন পরিবেশে অভ্যস্ত হতে সময় লাগে এবং বাসা বদলানোর সময় তাদের জন্য আলাদা যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

সমাধান: বাসা বদলানোর দিন বাচ্চাদের জন্য একটি আলাদা খেলার জিনিস বা খাবার প্রস্তুত করে রাখতে হবে যাতে তারা ব্যস্ত থাকে। পোষা প্রাণীদের জন্যও আলাদা খাবার, পানির ব্যবস্থা এবং তাদের প্রিয় খেলনা প্রস্তুত রাখা উচিত যাতে তারা নতুন বাসায় মানিয়ে নিতে পারে।

 

১১. সঠিক তারিখ নির্ধারণ না করা

অনেক সময় দেখা যায়, বাসা বদলানোর জন্য সঠিক তারিখ নির্ধারণ না করায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। নতুন বাসার রেন্ট কন্ট্রাক্ট শুরু হওয়ার আগে পুরোনো বাসা ছেড়ে দিলে আপনাকে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হতে পারে। আবার নতুন বাসার মেরামত বা অন্য কোন প্রস্তুতির কাজ বাকি থাকলে সেখানে গিয়ে অসুবিধা হতে পারে।

সমাধান: বাসা বদলানোর জন্য সঠিক একটি তারিখ নির্ধারণ করা জরুরি। এছাড়া বাসা বদলানোর আগে নতুন বাসার সব ধরনের প্রস্তুতি, যেমন রঙ করা, মেরামত কাজ সম্পন্ন করে নেওয়া উচিত।

 

১২. নতুন বাসায় রুম প্ল্যান না করা

নতুন বাসায় যাওয়ার পর কিভাবে আসবাবপত্র সাজাবেন, সেই পরিকল্পনা অনেকেই আগে থেকে করে না। ফলে বাসা বদলানোর পর অনেক ঝামেলা এবং অগোছালো অবস্থা তৈরি হয়। বিশেষ করে বড় আসবাবপত্র, যেমন সোফা, ডাইনিং টেবিল বা বেড সাজানোর সময় যদি রুমের জায়গা ঠিকমতো হিসেব করা না হয়, তবে সমস্যায় পড়তে হয়।

সমাধান:

বাসা বদলানোর আগে নতুন বাসার প্রতিটি রুমের জন্য আলাদা রুম প্ল্যান তৈরি করা উচিত। আসবাবপত্রের সাইজ এবং রুমের জায়গা অনুযায়ী ঠিক কোথায় কোন জিনিসটি রাখতে চান, তা আগে থেকেই ভাবা উচিত। এতে নতুন বাসায় গিয়ে আসবাবপত্র স্থানান্তর এবং সেট করার সময় অনেক সুবিধা হবে।

 

১৪. আগাম প্রস্তুতি না নেওয়া

অনেক সময় আমরা বাসা বদলানোর প্রস্তুতি খুবই শেষ মুহূর্তে শুরু করি। এতে দ্রুত কাজ করার চাপ বাড়ে এবং অনেক জিনিস ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সবকিছু ঠিকঠাক না গুছিয়ে শুরু করলে বাসা বদলানোর দিন বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।

সমাধান:

আগামী কিছু সপ্তাহের পরিকল্পনা করা জরুরি। প্রথমে কোন জিনিসগুলো আগে গুছাবেন এবং পরে কোনগুলো, তা ঠিক করে ফেলুন। একসাথে সবকিছু করতে গিয়ে যেন চাপ না পড়ে, তাই প্রতিদিন একটু একটু করে কাজ শেষ করুন।

 

১৫. গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের যত্ন না নেওয়া

প্রায়শই বাসা বদলানোর সময় গুরুত্বপূর্ণ নথি, কাগজপত্র ভুলে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। চুক্তিপত্র, জন্মনিবন্ধন, ব্যাংকের কাগজপত্র, বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ভুলে গেলে বা হারিয়ে গেলে অনেক বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

সমাধান:

এই ধরনের নথিগুলো একটি আলাদা এবং সুরক্ষিত জায়গায় রাখুন, যেমন একটি আলমারি বা ফাইল ক্যাবিনেটে। আপনি যদি পেশাদার প্যাকিং সার্ভিস ব্যবহার করেন, তবে তাদের এই নথিগুলো সুরক্ষিতভাবে প্যাক করতে বলুন। এছাড়াও, সবকিছুর একটি ডুপ্লিকেট কপি বা ডিজিটাল কপি রাখার চেষ্টা করুন।

 

১৬. ফ্রিজ বা রান্নাঘরের জিনিস গুছানোর ভুল

বাসা বদলানোর আগে ফ্রিজে থাকা খাবার এবং রান্নাঘরের জিনিসপত্র গুছিয়ে না রাখলে এগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় বাসা বদলানোর দিনও ফ্রিজে খাবার রেখে দেওয়া হয়, যা নতুন বাসায় গিয়ে ভালো অবস্থায় থাকে না।

সমাধান:

বাসা বদলানোর আগের দিন ফ্রিজ খালি করে ফেলুন এবং খাবারগুলোর যেগুলো দরকার নয়, সেগুলো ফেলে দিন। রান্নাঘরের তৈজসপত্রও আলাদা করে গুছিয়ে রাখুন। বাসা বদলানোর দিন সকালে প্রয়োজনীয় খাবার বা তৈজসপত্র গুছিয়ে বক্সে প্যাক করুন।

 

১৭. নতুন বাসার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি না করা

বাসা বদলানোর পর নতুন জায়গার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেক সময় লাগে। বিশেষ করে, যদি নতুন বাসা অন্য কোনো এলাকার হয়, তাহলে আশপাশের মানুষ বা জায়গার সঙ্গে পরিচিত হওয়া সময়সাপেক্ষ হতে পারে।

সমাধান:

নতুন বাসার আশপাশের এলাকায় একটু ঘুরে আসুন, পাশের বাড়ির মানুষদের সাথে পরিচিত হন। এলাকার বাজার, হসপিটাল, স্কুল বা জরুরি প্রয়োজনীয় জায়গাগুলো চিনে রাখুন। এতে নতুন জায়গায় গিয়ে মানিয়ে নিতে সহজ হবে এবং আপনি আত্মবিশ্বাসী বোধ করবেন।

 

১৮. ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস ঠিকমতো না করা

বাসা বদলানোর জন্য ট্রাক বা পিকআপ ভ্যান ভাড়া করার আগে অনেকেই সঠিকভাবে যোগাযোগ করেন না। ফলে বাসা বদলানোর দিন কোনো ট্রান্সপোর্ট না পেয়ে বিপাকে পড়তে হয়। কখনো কখনো ভুল সময়ে ট্রান্সপোর্ট আসায় কাজ বিলম্বিত হয়।

সমাধান:

আগে থেকেই নির্ভরযোগ্য এবং পেশাদার ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। Lalamove-এর মতো পেশাদার বাসা বদলানোর সার্ভিস ব্যবহার করলে নির্ভরযোগ্য ট্রান্সপোর্ট এবং প্যাকিং সার্ভিস পাওয়া যাবে। এতে বাসা বদলানো অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে এবং সময়মতো কাজ করা সম্ভব হবে।

 

১৯. নতুন বাসার চাবি না রাখা

বাসা বদলানোর পর নতুন বাসার চাবি কোথায় রেখেছেন, তা প্রায়ই অনেকেই ভুলে যান। ফলে বাসায় ঢুকতে গিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়। এটি একটি ছোট ভুল, তবে এটি নতুন বাসায় যাওয়ার পর তাৎক্ষণিক সমস্যা তৈরি করতে পারে।

সমাধান:

বাসা বদলানোর সময় নতুন বাসার চাবি সবসময় হাতে রাখা উচিত। কোনো সুরক্ষিত জায়গায় বা ব্যাগে এই চাবি রাখতে পারেন, যাতে প্রয়োজনের সময় তা সহজেই পাওয়া যায়। আরও ভালো হয় যদি চাবির একটি অতিরিক্ত কপি করে রাখেন।

 

২০. বাসা বদলানোর চাপ মানসিকভাবে না নেওয়া

বাসা বদলানো মানসিকভাবে খুবই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। পুরোনো জায়গা ছেড়ে যাওয়ার আবেগ, নতুন জায়গায় যাওয়ার চাপ এবং জিনিসপত্র গোছানোর টেনশন সবকিছু মিলিয়ে অনেকেই মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এটির প্রভাব বাসা বদলানোর কাজের ওপরও পড়ে।

সমাধান:

সবকিছু ধাপে ধাপে এবং পরিকল্পিতভাবে করা উচিত। আগের বাসার সাথে আবেগের সম্পর্ক থাকলেও নতুন জায়গায় নতুন কিছু শুরু করার সুযোগকে ইতিবাচকভাবে দেখা উচিত। বাসা বদলানোর প্রক্রিয়ায় পরিবারের সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন। এতে কাজের চাপ কমবে এবং মানসিকভাবে স্বস্তি পাবেন।

শেষ কথা

বাসা বদলানো নিঃসন্দেহে একটি জটিল কাজ, কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখলে এবং পেশাদার সার্ভিস যেমন Lalamove-এর সাহায্য নিলে এটি অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। পরিকল্পনা, সময় ব্যবস্থাপনা এবং সঠিক প্রস্তুতি থাকলে বাসা বদলানো একটি উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতায় পরিণত হতে পারে।

তাই, এইসব সাধারণ ভুলগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন এবং নতুন বাসায় একটি সুন্দর এবং সুশৃঙ্খল জীবন শুরু করুন!

 

 

Read more