ক্যাটারিং বা অনলাইন ফুড ডেলিভারি ব্যবসায় বাড়ান Lalamove এর মাধ্যমে

featured image

সকালবেলা ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙলো ভিক্টরের। নাম্বারটা অচেনা। কৌতুহল নিয়েই ফোনটা রিসিভ করল সে।
     -হ্যালো।
     -হ্যালো। এটা কি ‘ভিক্টর'স কিচেন’?  
     -জ্বি। 
    -আমি পাঁচটা পাস্ত্রামি স্যান্ডউইচ আর একটা ১ কেজির ওরিও চিজ কেক অর্ডার করতে চাচ্ছিলাম।
     -আপু, অর্ডার তো অ্যাপের মাধ্যমে নেওয়া হয়। আপনি অ্যাপ দিয়ে অর্ডার করে দিন।
     -অ্যাপ দিয়েই তো ট্রাই করলাম প্রথমে, ভাই। আপনার দোকানের নামই তো খুঁজে পাই না। 
     -বাসা কোথায়, আপু? 
     -মতিঝিল।
     -ওহ! এজন্যই আপু। আমাদের সার্ভিস আপনার এলাকা কভার করে না। 
     -কোনোভাবেই কি ম্যানেজ করা যাবে না? 
   -সরি আপু। আসলে ফুড ডেলিভারি অ্যাপে লোকেশন যেভাবে সেট করা থাকে সেই অনুযায়ীই আপনি আপনার আশেপাশের দোকানগুলোতে খাবার অর্ডার করতে পারেন। অ্যাপটা তো আসলে আমরা তৈরী করিনি। এইজন্য কিছু করতেও পারছি না আসলে।
    -অ্যাপ ছাড়া কি অর্ডার নেন না? আপনাদের নিজেদের লোক দিয়ে যদি খাবারগুলো মতিঝিলে পাঠিয়ে দেন আমার বাসায়? টাকা যা লাগে আমি দেব। প্লিজ ভাইয়া, দেখুন না একটু ম্যানেজ করে। আমার আজকে সন্ধ্যায় দরকার। 
     -ঠিক আছে। আপনার অ্যাড্রেস বলুন, আমি পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। 

অর্ডারটা মতিঝিলে পৌছাতে বেশ ভালোই ঝামেলা হল ভিক্টরের। বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি রেখে নিজেকেই যেতে হল ডেলিভারি করতে। কাজ-টাজ শেষ করে সারাদিন পর পুরো ব্যপারটা নিয়ে ভাবতে বসলো সে।

আসলে ব্যপারটা নিয়ে সে অনেকদিন ধরেই ভাবছিল। তার মনে হচ্ছে একটি নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি সার্ভিসের অভাবে ওর খাবারের  ব্যবসাটা একটা গন্ডির মধ্যে আটকে যাচ্ছে। একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বর্তমানে খাবার ডেলিভারি করছে তার নিজের স্টার্টআপ ‘ভিক্টর'স কিচেন’। ওর দোকান ধানমন্ডিতে। দোকানে এসে খেয়ে যেতে হবে অথবা ওই ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করতে হবে। সমস্যা হল, ওই অ্যাপের মাধ্যমে সে শুধু ধানমন্ডি ও তার আশেপাশের এলাকাতেই ডেলিভারি দিতে পারছে। কিন্তু ও বুঝতে পারছে, ওর কাস্টমার শুধু ধানমন্ডিতেই নয়, সারা দেশেই তৈরী করা সম্ভব। মাসখানেক হল, দোকানের মেন্যুতে নতুন কিছু আইটেম যোগ করা হয়েছে। আইটেমগুলো আমাদের দেশে এখনও খুব কম পাওয়া যায়। এই যে আজকে যে পাস্ত্রামি স্যান্ডউইচগুলো সে ডেলিভারি দিল, এই স্যান্ডউইচগুলো আসলে খুব নামীদামী হোটেল আর বেকারি ছাড়া কোথাও পাওয়া যায় না। এরকম আরও কিছু আইটেম চালু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপণ দেবার পর থেকেই ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার আসছে৷ আগে শুধু অ্যাপের মাধ্যমেই অর্ডার আসতো। সেই ফুড ডেলিভারি সার্ভিসের রাইডাররা এসে খাবার নিয়ে যেত, কাস্টমারকে পৌছে দিত। এখন সারা ঢাকা শহর থেকে অর্ডার আসায় দিন দিন ডেলিভারির কাজটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ভিক্টরের নিজস্ব কোনো ডেলিভারি টিম নেই৷ কখনও কিচেন থেকেই কাউকে পাঠাতে হচ্ছে তো কখনও নিজেকেই দৌড়াতে হচ্ছে। ও অনেকবার ভেবেছে নিজস্ব একটি ডেলিভারি টিম তৈরী করবে। কিন্তু ব্যবসাটা এখন যে অবস্থায় আছে তাতে আলাদা কয়েকজন লোকের বেতন দেওয়াটা কঠিন হবে। আবার, এখন যে ফুড ডেলিভারি কোম্পানির সাথে কাজ করছে তাদেরকেও প্রতি অর্ডারবাবদ যে পরিমাণ টাকা দিতে হয় তাতে লাভের পরিমাণ বেশ কিছুটা কমে যায়।

 

তাহলে সমাধান কী?

এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে ভিক্টর পরেরদিনই গেল ওর বন্ধু বিজনেস কনসালটেন্ট আকিবের অফিসে। পুরো ব্যপারটা আকিবকে খুলে বলতেই একটা হাসি দিয়ে সে বলল- “ এটা কোনো ব্যপার?তুই  Lalamove এর নাম শুনিসনি?”
-লালামুভ? ওরা তো ট্রাক ভাড়া দেয়।
-কোন দুনিয়ায় থাকিস তুই? ট্রাক তো ওদের আসল সার্ভিস। কিন্তু ওরা বাইক দিয়েও পার্সেল ডেলিভারি করে। 
- বলিস কি? আমি তো জানতামই না। খাবার পাঠানো যায়?
-একশোবার যায়।

Lalamove আপনার বিশ্বস্ত ফুড ডেলিভারি পার্টনার

আকিব ল্যাপটপ দিয়ে  Lalamove এর ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত সব তথ্য ভিক্টরকে দেখাল।

ট্রাক ছাড়াও পার্সেল ডেলিভারির জন্য লালামুভ এর রয়েছে সেডান এবং বাইক। 

খাদ্যদ্রব্য পরিবহনের জন্য বাইক এবং সেডান দুই-ই প্রয়োজনমতো ভাড়া করা যাবে। 

খাদ্যদ্রব্যের ওজন যদি ২৫ কেজির মধ্যে হয়, তাহলে বাইকের মাধ্যমেই তা পাঠানো সম্ভব। এক্ষেত্রে বেস ভাড়া পড়বে ৬০ টাকা। 

আজকাল অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা করছেন। বাড়িতেই রান্না করে  বিয়ে, জন্মদিন, ঘরোয়া আয়োজন কিংবা কর্পোরেট পার্টিগুলোতে  শ'খানেক মানুষের লাঞ্চ বা ডিনার সরবরাহ করার ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন অনেকেই। এসবক্ষেত্রে সেডান ব্যবহার করা যেতে পারে। সেডানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৪০০ কেজি পর্যন্ত খাদ্যদ্রব্য এবং অন্যান্য দ্রব্যাদি পাঠানো যাবে। এক্ষেত্রে বেস ভাড়া পড়বে  সর্বনিম্ন ১৯৬ টাকা। 

এছাড়াও যারা কৃষিপণ্য নিয়ে ব্যবসা করেন, তাদের জন্য Lalamove এর রয়েছে ‘লালাব্যাগ’ নামে একটি বিশেষ ইনসুলেটেড এবং ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ। এই ব্যাগগুলো অ্যাডজাস্টেবল। প্রতিটি ব্যাগে সর্বোচ্চ ১০ কেজি পর্যন্ত পণ্য বহন করা সম্ভব ।  লালাব্যাগের মাধ্যমে পচনশীল কৃষিপণ্য তাজা অবস্থায় পরিবহণের সুবিধা রয়েছে।

 

কেন ফুড ডেলিভারির জন্য Lalamove সেরা?

ফুড ডেলিভারির ক্ষেত্রে লালামুভের যানবাহন ব্যবহারের একটি বিশেষ সুবিধা হলো, এক্ষেত্রে বিক্রেতাকে কোনো অর্থ প্রদান না করলেও চলে। ক্রেতা প্রোডাক্ট রিসিভ করার সময় ডেলিভারি চার্জ পরিশোধ করবে।

কোনো ব্যবসায়ী যদি তার ডেলিভারি পার্টনার হিসেবে একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন তখন তাকে প্রতিটি ডেলিভারি বাবদ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সেই অ্যাপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানকে দিতে হয়। আবার যেসব ক্রেতা খাবার কিনছেন, তারাও ডেলিভারি চার্জ প্রদান করেন। খাবারের ডেলিভারি চার্জ সবখানেই তুলনামূলকভাবে বেশি। এভাবে খাবারের দোকান থেকে ক্রেতার ঠিকানা পর্যন্ত খাবার পৌছাতে খরচ হয়ে যায় অনেকগুলো টাকা। বিক্রেতার লাভ হয় সীমিত। 

অপরদিকে, একজন ব্যবসায়ী যদি Lalamove এর মাধ্যমে ফুড ডেলিভারি করেন, তাহলে তাকে কোনো টাকাই দিতে হবে না। বাইক বা সেডান যার মাধ্যমেই খাবার পাঠানো হোক না কেন, ডেলিভারি চার্জ কাস্টমারই প্রদান করবেন। খাবার বিক্রীর মূল্য পুরোটাই বিক্রেতা পাবেন। এতে তাঁর লাভের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে।

 

সেরা কাস্টমার সার্ভিস

লালামুভের  রয়েছে একটি দক্ষ  অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট টিম। এই টিম  আপনার ব্যবসার প্রয়োজনে  উপযুক্ত সেবা  প্রদানের জন্য সবসময় নিয়োজিত শুধু অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট টিমই নয়, রাইডার/ড্রাইভাররাও প্রশিক্ষিত এবং সহযোগী মনোভাবসম্পন্ন। প্রয়োজনে তাদেরকে রান্নার ভারি হাড়িপাতিল, খাবারের বক্স ইত্যাদি  বস্তু ওঠানো-নামানোর কাজ করে দেবার জন্যও অনুরোধ করতে পারেন। তাঁরা খুশিমনে আপনাকে সহযোগীতা করবেন।

 

রাইডারদের জন্যও সুবিধাজনক

শুধুমাত্র ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের জন্যই Lalamove সুবিধাজনক, তা নয়। রাইডারদের জন্যও রয়েছে বিশেষ সুবিধা। আপনি যদি একজন বাইক রাইডার হন, তাহলে অন্যকোনো ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে রাইডার হিসেবে কাজ করার চেয়ে Lalmove এ  কাজ করা আপনার জন্য বেশি সুবিধাজনক। কারন, এখানে আপনাকে ধরাবাঁধা কোনো টাইম শিডিউল মেনে কাজ করতে হবে না। আপনার সুবিধামতো সময়ে, সুবিধামতো এলাকা থেকে পার্সেল পিক-আপ করতে পারবেন।

অ্যাপের ওয়ালেট ট্যাবে গিয়ে নিজের আয় দেখতে পাবেন। এতে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা নেই।  ড্রাইভারদের জন্য রয়েছে মিশন বোনাসের সুবিধা। এই সুবিধার আওতায় একজন হাই রেটেড ড্রাইভার উপভোগ করতে পারেন বিশেষ বোনাস। ভেহিকল স্টিকার ব্যবহারের সুবিধাও রয়েছে।  

যারা বাইক চালাতে জানেন কিন্তু নিজের মালিকানাধীন কিংবা ভাড়ায় চালিত কোনো বাইক নেই, তাদেরও মন খারাপ করার কোনো কারন নেই। কোনো বাহন না থাকলেও Lalamove এর ডেলিভারি পার্টনার হিসেবে কাজ করার সুযোগ আছে।

 

কিভাবে পাবেন Lalamove এর সার্ভিস

Lalamove কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য  পাঠানোর নিয়ম খুব সহজ। আপনাকে শুধুমাত্র মোবাইলে  একটি অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। ব্যবসায়ী, ব্যক্তিগত পার্সেল পাঠানো এবং ড্রাইভার হিসেবে কাজ করার জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপ।  অ্যাপগুলো আইওএস এবং অ্যান্ড্রোয়েড দুই প্লাটফর্মের জন্যই রয়েছে। অ্যাপ স্টোর কিংবা গুগল প্লে থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে।আপনার চাহিদা অনুযায়ী অ্যাপ ডাউনলোড করে প্রয়োজনীয় তথ্যের ফর্ম পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।এছাড়াও রয়েছে কর্পোরেট একাউন্ট ব্যবহারের সুবিধা। 

এই অ্যাপ ডাউনলোড এবং রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোনো টাকার প্রয়োজন নেই।

 

কোন কোন এলাকায় Lalamove এর মাধ্যমে খাবার ডেলিভারি দেওয়া যাবে?

লালামুভের সেবার পরিধি বর্তমানে ঢাকা, টঙ্গী, আশুলিয়া, গাজীপুর, সাভার, কেরানীগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, এবং রুপগঞ্জ জুড়ে বিস্তৃত। কাজেই, শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার পার্শ্ববর্তী শহরগুলোর ব্যবসায়ীরাও লালামুভের সার্ভিস গ্রহণ করতে পারবেন। শীঘ্রই বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে এই সার্ভিসটি পাওয়া যাবে।

 

মাল্টি-স্টপ ডেলিভারি

একটি অর্ডারে ২০টি ড্রপ অফ পয়েন্ট নির্বাচন করা সম্ভব এই মাল্টি-স্টপ ডেলিভারি সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে। ধরা যাক, একজন ব্যবসায়ী কোনো একদিন  ১০০টি খাবারের পার্সেল পাঠাচ্ছেন। এর মধ্যে ২০টি পার্সেলের প্রাপকের ঠিকানা একই এলাকায়। সেক্ষেত্রে তিনি একটি অর্ডারেই ভিন্ন ভিন্ন ১৫টি ড্রপ অফ পয়েন্ট নির্বাচন করে ১৫ জন প্রাপকের কাছে পার্সেল পাঠাতে পারবেন। এতে তাঁর পার্সেল পাঠানোর খরচ অনেক কমে যাবে।

 

চব্বিশ ঘন্টা সক্রিয় কুরিয়ার সার্ভিস

আপনি যদি চব্বিশ ঘন্টা ফুড ডেলিভারি সার্ভিস চালু রেখে আপনার সকল প্রতিযোগী ব্যবসাগুলোর চেয়ে এগিয়ে থাকতে চান, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর। লালামুভ দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টা কাজ করে।আপনাকে যে কোনও সময় ডেলিভারির সময় নির্ধারণ করতে দেয়। এই প্রতিষ্ঠানটি অন-ডিমান্ড ডেলিভারি এবং একই দিনে ডেলিভারি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

যেহেতু Lalamove 24/7 কাজ করে, তাই এর মাধ্যমে যেকোনো সময় ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব।অন-ডিমান্ড ডেলিভারি এবং সেইম ডে ডেলিভারি Lalamove এর কয়েকটি সুবিধাজনক  দিক । 
ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের জন্যই পার্সেল ট্র্যাকিংয়ের সুবিধা  

Lalamove তাদের নিজেদের সাথে সাথে ব্যবহারকারীকেও অর্ডারগুলিকে ট্র্যাক করতে দেয়, ব্যবহারকারীকে ভ্রমণের প্রতিটি পর্যায়ের অবস্থা জানতে দেয়। একজন রাইডার রিয়েল টাইমে কোথায় আছেন  তা অ্যাপের মাধ্যমে দেখা, সেই  রাইডারের সাথে যোগাযোগ করা এবং ডেলিভারি সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথেই নোটিফিকেশন পাবার ব্যবস্থা আছে অ্যাপটিতে ।
আপনি যদি কোথাও খাবার পাঠান , আপনার ট্র্যাকিং তথ্য আপনার গ্রাহকের কাছেও পাঠাতে পারেন যাতে করে তারা জানতে পারেন  কখন ডেলিভারিম্যান আসবেন।

 

দুরত্ব কোনো ব্যপার নয়

শুরুতে উল্লেখিত ‘ভিক্টর'স কিচেন’ এর কাস্টমার যে সমস্যায় পড়েছিলেন, সেরকম সমস্যায় কিন্তু ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই পড়েন প্রায়শই। ধরা যাক, আপনার ঢাকার মতিঝিলে একটি রেস্টোরেন্ট আছে। আপনার রেস্টোরেন্টের কাচ্চি খুবই বিখ্যাত। মতিঝিল ছাড়া আপনার প্রতিষ্ঠানের আর কোথাও কোনো শাখা নেই। একটি বহুল প্রচলিত অ্যাপের মাধ্যমে আপনি ফুড ডেলিভারি করেন। ওদিকে, গুলশানের একজন ভোজনরসিক ক্রেতা আপনার কাচ্চির অনেক প্রশংসা শুনে সেই বহুল প্রচলিত ফুড ডেলিভারি অ্যাপে আপনার রেস্টোরেন্টটি সার্চ করলেন। এই অবস্থায় কী হবে? তার সার্চ রেজাল্টে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম কিন্তু আসবেই না।  অ্যাপে তিনি শুধু গুলশান এবং তার আশেপাশের রেস্তোরাঁগুলোই দেখতে পাবেন। আপনার বিখ্যাত কাচ্চি বাড়িতে বসে একবার খেয়ে দেখার সৌভাগ্য তার হবে না। আবার আপনিও এভাবে একজন সম্ভাব্য ক্রেতা হারাবেন। অথচ, আজকে আপনার যদি এমন একটি সার্ভিস থাকতো, যার মাধ্যমে আপনি সারা ঢাকা শহরেই খাবার ডেলিভারি করতে পারতেন, তাহলে কিন্তু ক্রেতা আর আপনার মধ্যে এই দূরত্ব থাকতোই না। প্রতিদিন আপনি এমন শত শত কাস্টমারের কাছে আপনার কাচ্চি পৌছে দিতে পারতেন যাদের পক্ষে সশরীরে আপনার রেস্তোরাঁয় আসা সম্ভব নয়। এতে তাঁরা যেমন উপকৃত হয়ে আপনার সেবার প্রতি সন্তুষ্ট থাকতেন, আপনারও বিক্রী বেড়ে যেত কয়েকগুণ। 

তবে আর দেরী কেন? আজই আপনার নিয়মিত ডেলিভারি পার্টনার হোক Lalamove। না লাগবে রেস্তোরাঁর অনেকগুলো ব্রাঞ্চ খোলা, না লাগবে আপনার নিজের কোনো ডেলিভারি টিম। লাগবে না কারোর সাথে খাবার বিক্রীর টাকা শেয়ার করা। আপনার রেস্তোরাঁর খাবার ছড়িয়ে যাবে সারা ঢাকা শহরে। স্বল্প ডেলিভারি চার্জের বিনিময়ে কাস্টমার নিজেই তার পার্সেল বুঝে নেবেন। প্রচলিত ফুড ডেলিভারি অ্যাপের চেয়ে লালামুভের মাধ্যমে খাবার ডেলিভারি করে বাড়িয়ে নিন ব্যবসার পরিধি। নিজের লাভের অংক বৃদ্ধি করুন আরও বহুগুণ। 

Read more