পুরাতন ট্রাক কেনার আগে যা জানা উচিত:ট্রাক কেনার নিয়ম

featured image

পুরাতন ট্রাক কেনার আগে যা জানা উচিত:ট্রাক কেনার নিয়ম

নতুন কিংবা পুরাতন যেকোনো ধরনের গাড়ি কেনার আগে অনেক কিছুই বিবেচনা করতে হয়। গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন থেকে ফিটনেস কতকিছু যে খেয়াল করতে হয় তার ইয়ত্তা নেই। আর যদি হয় পুরাতন ট্রাক, তাহলে তো দ্বিধার শেষ নেই। পুরাতন ট্রাকটি ভালো কিনা? আপনার বাজেটের মধ্যে এই ট্রাকটি কেনা সম্ভব কিনা? ট্রাকের ইঞ্জিন ঠিক আছে কিনা? 

আরো কত শত প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে, যা অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত। আপনার এ সকল প্রশ্নের অবসান করার জন্যই এই আর্টিকেলটি। আসুন জেনে নেই পুরাতন ট্রাক কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা উচিত।

-

কত পুরাতন ট্রাক কেনা ভালো?

পুরাতন ট্রাক কিনতে গেলে প্রথমেই মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে- কত দিনের পুরোনো ট্রাক কেনা উচিত? সাধারণভাবে, পাঁচ বছর বা তার কম বয়সী গাড়ি কেনা ভালো, কারণ এ ধরনের গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম এবং এর অবস্থা ভালো থাকার সম্ভাবনা বেশি। দশ বছরের বেশি পুরনো ট্রাক কেনার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং ট্রাকের বর্তমান অবস্থার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। পুরোনো ট্রাক কেনার সময় তার বয়স এবং মাইলেজ বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। একটি ট্রাকের ওডোমিটার আপনাকে গাড়ির কত দূরত্ব অতিক্রম করেছে তা জানাতে সাহায্য করে। সাধারণত, একটি পাঁচ বছর বয়সী গাড়ির মাইলেজ গড়ে ৬০,০০০ থেকে ৭৫,০০০ কিলোমিটার হতে পারে। একটি দশ বছর বয়সী গাড়ির মাইলেজ সাধারণত ১,২০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পুরোনো ট্রাক কেনার সময় এগুলো মনে রাখলে, আপনি একটি ভাল মানের পুরোনো ট্রাক কিনতে পারবেন এবং যা ভবিষ্যতের জন্য নির্ভরযোগ্য। 

 

ট্রাক কেনার নিয়ম যেগুলো মাথায় রাখতে হয়-

চেকলিস্ট তৈরি করুন

যখনই পুরাতন ট্রাক কেনার সিদ্ধান্ত নিবেন, প্রথমেই একটা চেকলিস্ট তৈরি করে ফেলুন।এতে করে আপনি সহজেই আপনার বিজনেসের জন্য সবচেয়ে ভালো মানের ট্রাকটি কিনতে পারবেন। 

  • আপনি কোন ধরনের ট্রাক কিনতে চাচ্ছেন।
  • আপনার বাজেট নির্ধারণ করুন। 
  • ট্রাকের পূর্বের রেকর্ড এবং বর্তমান কন্ডিশন কি তা জেনে নিন।
  • কোনো ব্যাংক লোন বা ইনসুরেন্স সুবিধা নেওয়ার প্রয়োজন হলে তা আউটলাইন করে ফেলুন।
  • আপনি ডিলারকে কি কি প্রশ্ন করবেন তা আগে থেকেই নোট করে নিন। 

ট্রাকের কাগজপত্র যাচাই করুন

প্রতিটি ট্রাক রাস্তায় চলার জন্য কিছু লিগ্যাল ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। যেমন: রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন, মটর ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট, রুট পারমিট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স। এখানে উল্লেখিত ডকুমেন্টস গুলোর নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তাই পুরাতন ট্রাকের সব কাগজের হালনাগাদ ও মেয়াদ ঠিকভাবে আছে কি না তা চেক করা অত্যন্ত জরুরি। যদি মেয়াদ না থাকে, তবে স্থানীয় বিআরটিসি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। ট্যাক্স টোকেন ব্যাংক বরাবর টাকা জমা দিলেই পেয়ে যাবেন। বাকি মটর ইন্সুরেন্স করে এমন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে মটর ইন্সুরেন্স সংগ্রহ করে নিবেন। পুরাতন বা নতুন ট্রাক কেনার সময় প্রথমেই ট্রাকের কাগজপত্র যাচাই বা হালনাগাদ করা উচিত। কেননা এই কাগজগুলো ছাড়া আপনি রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হতে পারবেন না। বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা আইন ২০১৮ অনুযায়ী রেজিষ্ট্রেশনবিহীন যেকোনো আটককৃত গাড়ির জন্য ৫০০০০ টাকা ও নন্যূতম ছয় মাস জেল ধার্য করা হয়েছে। তাই পুরাতন ট্রাক কেনার সময় সকল কাগজের মেয়াদ গুরুত্ব সহকারে চেক করে নিন।

 

পুরোনো রেকর্ড চেক করুন

পুরাতন ট্রাক কেনার নিয়ম হলো প্রথমেই যে ট্রাকটি কিনতে চাচ্ছেন; তার পূর্বের সব রেকর্ড চেক করে নেওয়া। আপনার ডিলারের কাছে ট্রাকটির যাবতীয় মেইনটেনেন্স রেকর্ড, তেল বদলের রেকর্ড এমনকি ট্রাকটি এ পর্যন্ত কতবার দূর্ঘটনায় পড়েছে এসব জেনে নিবেন। এটাও প্রশ্ন করতে পারেন ট্রাকটি কেন বিক্রি করা হচ্ছে। যদি পূর্বের কোনো রেকর্ড লুকানোর চেষ্টা করে, তবে সহজেই বুঝে নিবেন ডিলার আপনার কাছে কিছু লুকাচ্ছে। ট্রাকটি সঠিকভাবে মেইনটেইন করা হয় নি এটাও বুঝা যাচ্ছে। এছাড়াও ট্রাকের বিভিন্ন সেফটি পার্টসও চেক করে নিবেন যেমন স্টিয়ারিং, ব্রেক এবং লাইটস।  

 

ট্রাকটির সার্বিক অবস্থা দেখে নিন

যেহেতু আপনি টাকা দিয়েই পুরাতন ট্রাক কিনছেন, তাই ট্রাকের যাচাইয়ের ব্যাপারটি অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত। প্রথমেই দেখুন ট্রাকের বাইরের অবস্থা কিরকম। পেইন্ট,বডি, টায়ার পরিক্ষা করে নিন। কোনো স্ক্র্যাচ, ডেন্ট বা মরিচা আছে কিনা চেক করে নিন। গাড়ির ইন্টিরিয়র দেখতে মোটেও ভুলে যাবেন না। সিট, ড্যাশবোর্ড এবং ইলেকট্রনিকস পরিক্ষা করে নিন। ভেতরে কোনো গন্ধ আছে কিনা চেক করে নিন, অনেক সময় বিভিন্ন গন্ধও বিভিন্ন বিষয় নির্দেশ করে। ইঞ্জিনের অবস্থা, ব্রেক, গিয়ার বক্স পরিক্ষা করুন। ইঞ্জিন থেকে কোনো অস্বাভাবিক শুব্দ আসছে কিনা তাও খেয়াল রাখুন।

 

ট্রাকের ধারণক্ষমতা কতটুকু যাচাই করুন

প্রতিটি ট্রাকের ধরন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট ভার বহন করার সীমা থাকে। এই সীমার থেকে বেশি ওজন বহন করলে ট্রাকের ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেক সময়, ভাড়া নেওয়া বা শিপাররা সর্বোচ্চ সীমার বেশি ভার বহন করার জন্য ট্রাক মালিকদের অনুরোধ করেন, এবং কিছু মালিক অল্প কিছু বেশি ভাড়ার জন্য এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ট্রিপ নিয়ে থাকেন, যা ট্রাকের জন্য ভালো নয়।

এই অতিরিক্ত ওজন বহনের ফলে টায়ার দ্রুত ক্ষয় হতে পারে, ইঞ্জিনের ক্ষমতা কমতে পারে, এবং চেসিস দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। এছাড়াও, অতিরিক্ত ওজন নিয়ে অনেক সেতু পার হওয়া সম্ভব হয় না। উদাহরণস্বরূপ, মেঘনা সেতু পার হতে হলে ট্রাকের সর্বোচ্চ ওজন ২২ টনের বেশি হতে পারে না।

 

ট্রাকের ইঞ্জিন পরিক্ষা করে নিন

পুরাতন ট্রাক কেনার সময় ইঞ্জিনের অবস্থা ভালোভাবে যাচাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইঞ্জিনের বড় ধরনের মেরামত প্রায়শই ব্যয়বহুল হয়ে থাকে, তাই ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা সঠিক না থাকলে প্রতিটি ধাপে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। পুরাতন ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে ইঞ্জিন ওয়েলের কার্যকারীতা কমতে থাকে। ইঞ্জিন যত পুরানো হয়, তত লুব্রিকেন্টের কার্যকারিতা কমতে থাকে, তাই তেল বদলানোর সময় দ্রুত এগিয়ে আসে। উদাহরণস্বরূপ, নতুন ইঞ্জিনে মবিল বদলানোর পর ট্রাক ১০,০০০ কিলোমিটার চলতে পারে, কিন্তু পুরাতন ইঞ্জিনে ৭,০০০ কিলোমিটার চলার পরই মবিল বদলাতে হয়। অনেক সময় ট্রাকের ইঞ্জিন থেকে নির্গত ধোঁয়াও ট্রাকের ইঞ্জিন এর কর্মক্ষমতা নির্দেশ করে। ইঞ্জিনের কালো ধোঁয়া ও প্রকট শব্দ ইঞ্জিনের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নির্দেশ করে। তাই পুরাতন ট্রাক কেনার সময় এই খুটিনাটি বিষয়গুলো চেক করে নিন, প্রয়োজন হলে অভিজ্ঞ মেকানিক দ্বারা পরিক্ষা করিয়ে নিন।

 

সঠিক বাজারমূল্য যাচাই করা

পুরাতন ট্রাক কেনার সময় তার সঠিক বাজারমূল্য যাচাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনি একটি ন্যায্য মূল্য দিয়ে ক্রয় করতে পারেন। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন অটো ডিলারস ওয়েবসাইট, সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ির ওয়েবসাইট (যেমন OLX, কারডেকো, এবং কারট্রেড) দেখে ট্রাকের বর্তমান মূল্যের ডাটা সংগ্রহ করুন। কিছু ওয়েবসাইটে গাড়ির মূল্য নির্ধারণের টুলস থাকে যা আপনাকে ট্রাকের বর্তমান বাজারমূল্য সম্পর্কে ধারণা দেয়। স্থানীয় ট্রাক ডিলার বা সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাদের কাছে বাজারমূল্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করুন। ট্রাকটির পূর্ববর্তী মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের রেকর্ড যাচাই করে নিন, যা আপনার পুরাতন ট্রাকের মূল্য নির্ধারণে সাহায্য করবে। পুরাতন ট্রাকের ডিপ্রিসিয়েশন রেট বুঝে নিন। সাধারণত, ট্রাকের বয়স ও মাইলেজের উপর ভিত্তি করে মূল্য কমে যায়। এভাবে যাচাই-বাছাই করে নিলে আপনি অনেকাংশেই সঠিক বাজারমূল্য নির্ধারণ করতে সক্ষম হবেন।

 

ইমার্জেন্সি ব্রেক পরিক্ষা করে নিন

নিরাপত্তার দিক বিবেচনায় ট্রাকের ইমার্জেন্সি ব্রেক পরিক্ষা করে নেওয়া খুবই জরুরি। টেস্ট ড্রাইভ করতে খালি মাঠে যান যেখানে নিরাপদে ব্রেক করা যাবে। গাড়ির গতি কিছুটা বাড়িয়ে ইমার্জেন্সি ব্রেক চেপে পরীক্ষা করুন। হ্যান্ড ব্রেকও পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ঢাল বা সরু রাস্তায় এটি পরীক্ষা করা ভালো, কারণ এখানে হ্যান্ড ব্রেকের কার্যকারিতা ভালোভাবে বোঝা যাবে।ব্রেকিং ডিসট্যান্সের দিকে লক্ষ্য রাখুন এবং নিশ্চিত হয়ে নিন যে গাড়িটি দ্রুত থামছে কিনা।

 

আইনগত বিষয় নজরে রাখুন

পুরাতন ট্রাক কেনার সময় বেশ কিছু দিক থেকে আইনগত বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হয়। কেননা ট্রাকের মালিকানা অন্য একজনের অধীনে ছিলো।পুরাতন ট্রাক কেনার আগে নিশ্চিত হবেন যে, গাড়িটির নিবন্ধন সঠিক এবং বৈধ। গাড়ির মালিকের নাম, নিবন্ধনের তারিখ, এবং নিবন্ধন নম্বর যাচাই করে নিবেন। ট্রাকটি কোনো লোনের টাকায় কেনা কিনা এবং তা সময়মতো পরিশোধিত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা জরুরি। গাড়ির ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন, যেমন: গাড়িটি কোনো দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল কিনা, আগের মালিক কতজন ছিল ইত্যাদি। এটি গাড়ির ভবিষ্যৎ রক্ষণাবেক্ষণের খরচ এবং সম্ভাব্য সমস্যাগুলি বুঝতে সাহায্য করবে। ট্রাকের মালিকানা সঠিকভাবে আপনার নামে হস্তান্তর করে নিন। এটি করার জন্য স্থানীয় ট্রাফিক অফিস বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। ট্রাক কেনার আগে একটি পেশাদার মেকানিক দ্বারা পুরো ট্রাক পরীক্ষা করানো উচিত। এতে করে ট্রাকের যান্ত্রিক ও কাঠামোগত অবস্থা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবেন।

 

শেষ কথা

আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনা পুরাতন ট্রাক কেনার নিয়ম গুলো অনেকটাই ধরতে পেরেছেন। কোন কোন বিষয় গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে তা জানানোর জন্যই এই আর্টিকেলটি। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কেনার মতোই পুরাতন ট্রাক কিনতেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। একটু স্মার্টভাবে ডিল করতে পারলে আপনিও সহজেই পুরাতন ট্রাক কিনে জিতে আসতে পারেন। 

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন ১: পুরাতন ট্রাকের স্টিয়ারিং কীভাবে পরিক্ষা করা হয়?

উত্তর: গাড়িটি চালানোর সময় স্টিয়ারিংয়ে কোনো ধরনের ভাইব্রেশন অনুভব হলে, এটি ট্রাকের স্টিয়ারিং সিস্টেমে সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। ভাইব্রেশনটি যদি চলমান থাকে, তাহলে বুঝতে হবে যে এটি সাসপেনশন বা স্টিয়ারিং সিস্টেমের কোনো ত্রুটি হতে পারে।

 

প্রশ্ন ২: পুরাতন ট্রাকের ফ্রেম ড্যামেজ কিনা কীভাবে বুঝব?

উত্তর: ট্রাকের নীচের অংশ ভালোভাবে পরিদর্শন করুন। কোনো মরিচা, ফাটল, বা খোঁচা রয়েছে কিনা তা চেক করুন। ফ্রেমের সোজা লাইন দেখে যদি কিছু অস্বাভাবিকতা দেখতে পান, তাহলে তা ড্যামেজের সংকেত হতে পারে। গাড়ি চালানোর সময় শাদা বাষ্প বের হলে, এটি ইঞ্জিনের সমস্যা অথবা ফ্রেমের ড্যামেজের লক্ষণ হতে পারে। শীতকাল বাদে যদি সাদা বাষ্প দেখা যায়, তাহলে এটি অস্বাভাবিক। 

 

প্রশ্ন ৩: পুরাতন ট্রাক কেনার সময় মালিককে কী প্রশ্ন করা উচিত?

উত্তর:সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি কেনার সময় মালিককে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করা উচিত, যা গাড়ির প্রকৃত অবস্থার মূল্যায়নে সাহায্য করবে। গাড়ির মোট কিলোমিটার বা মাইলেজ কত? এটি গাড়ির ব্যবহারের পরিমাণ নির্দেশ করবে।

গাড়ির পূর্ববর্তী মালিক কতজন ছিল? গাড়ির বর্তমান বিমা এবং রেজিস্ট্রেশন স্ট্যাটাস কী? গাড়ির সমস্ত কাগজপত্র যেমন, নথি, সার্ভিস রেকর্ড, এবং সব সনদপত্র আছে কিনা তা যাচাই করে নিন।



Read more