শহুরে জীবনে ঝামেলাহীন থাকার সহজ উপায়

featured image

 

 

প্রতিদিনের কাজের মাঝেও মাথায় ঘুরপাক খায় হাজারো টেনশন। যানজটের ঢাকা শহরে বাস হলে তো কথাই নেই। ঝামেলা বাড়ে বহুগুণ।

ধরুন মাস শেষে আপনাকে বাজারে যেতেই হবে। পরিচিত শপিং মল বা মুদি দোকান থাকলেও, সেখান থেকে বাজার ঘরে পৌঁছে দেওয়ার মতো মানুষ নেই। আবার ধরেন বাসা পাল্টাবেন। কিন্তু ঘরভর্তি এত এত জিনিসপত্রের দিকে তাকালে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। কিভাবে নিয়ে যাবেন সেই চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়ে।

কাউকে উপহার পাঠিয়ে সারপ্রাইজ দিবেন, জ্যামের শহরে চাইলেও সময়মত সেটা পারা দূরহ। আবার কোনো ডেলিভারিম্যান বা কুরিয়ারও নেই যে মূল্যবান জিনিস তাঁর হাতে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকবেন এটা ভেবে যে সময়মতো তা পৌঁছে যাবে। গুরুত্বপূর্ণ কোন জিনিস বা ডকুমেন্টস ঘরে ফেলে আসলে তো কথাই নেই। রাগে দুঃখে তখন চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করে।

এতসব উটকো হঠাৎ অদ্ভুত সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় কি নেই? একটা উপায়েই যদি সবগুলো টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়া যেত তবে কতই না ভালো হতো। যেমন, হাতের স্মার্ট ফোনের কয়েকটি ক্লিক মাসের বাজার চলে আসলো, প্রয়োজনীয় পার্সেল কিংবা ফেলে আসা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, অথবা কাউকে উপহার পাঠানোর দায়িত্ব সম্পন্ন হলো।

চলুন, জেনে নেয়া যাক প্রাত্যহিক জীবনের নিয়মিত কিছু সমস্যা ও তার সহজ সমাধান:

১. ভুলে বাসায় ফেলে আসা গুরত্বপূর্ণ জিনিস

যানজটের ঢাকা শহরে ঘর থেকে বেরোতে হয় আমাদের তাড়াহুড়ো করে। নাহলে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। আর এই তাড়াহুড়োর কারণে অনেকসময়ই আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক কাগজপত্র বা জিনিসপত্র বাসায় ফেলি আসি। এইরকম উদ্ভূত সমস্যায় আমরা প্রায় সবাই কম বেশি পড়ি। এমন অবস্থায় নিজের উপর রাগ না করে আপনি খুব সহজেই লালামুভের মাধ্যমে খুব দ্রুততম সময়ে নামমাত্র খরচে কাঙ্ক্ষিত ডকুমেন্টস বা বাসায় ফেলে আসা দরকারি জিনিসপত্র হাতে পেতে পারেন। তাই এখনই এই দরকারি ছোট্ট মোবাই অ্যাপটি ফোনে ইন্সটল করে রাখুন।

অ্যাপ ডাউনলোড লিংক: https://lalamove.onelink.me/2vQB/userapp

২. বিশেষ দিনে প্রিয়জনের জন্য গিফট

জন্মদিন থেকে বিয়ে বা যে কোন উপলক্ষে উপহার দেয়া আমাদের দেশে অনেক প্রচলিত। অনেকসময় আপনি হয়তো বন্ধুর প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠানে থাকতে পারছেন না, আবার তাঁকে শুভেচ্ছা না জানালেও জিনিসটা শোভন দেখায় না। তখন কি করবেন? জ্যামের এই ঢাকা শহরে গিফট দিয়ে আবার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসাটা রীতিমতো অসম্ভব। এমন পরিস্থিতিতেও আপনার কাজে আসবে ফোনে ইন্সটল করা লালামুভ অ্যাপটি। প্রিয়জনের জন্যে আপনার গিফটটি লালামুভের মাধ্যমে না পাঠানোর কোনো কারণই নেই।

 

হোম ডেলিভারি সার্ভিস

৩. স্পেশাল খাবার পাঠান স্পেশাল মানুষের জন্য

বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে। জানালার শার্সিতে বৃষ্টির জল পরে সেটিকে ক্রমশ ঘোলা করে তুলছে। জানালার একপাশ খুলে বিষণ্ণ মনে গালে হাত দিয়ে একমনে বৃষ্টি দেখছেন। নষ্টালজিক হয়ে যাচ্ছেন ক্রমশ। মনে পড়ছে এরকম দিনেই হলের মেয়েরা মিলে খিঁচুড়ি রান্না করত ভার্সিটি লাইফে। মনে হলো করা যাক না রান্না। যেই ভাবা সেই কাজ। রান্না করে ফেললেন ভুনা খিঁচুড়ি। খেতে গিয়ে মনে পড়লো প্রিয়জন তো অফিস বা দূরে কোথাও। শহরেই আছে কিন্তু নাগালের বাইরে। দুই ক্লিকেই লালামুভ করে দিন গরম খাবার আর নিশ্চিন্তে উপভোগ করুন আপনার ডিশ।

৪. প্রয়োজনীয় পার্সেল/ওষুধ পাঠানো

বৃদ্ধ বাবা মা থাকেন মিরপুরে। আপনি আছেন গুলশানে, অফিসে। মা ফোন দিয়ে বলছে তোর বাবার ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। দুপুরে খাওয়ার ওষুধ পর্যন্ত নেই। এত বড় অপারেশনের পর ওষুধের এক ডোজ একবেলা না নিলে বড় বিপদ হতে পারে। রাগ উঠছে মায়ের উপর। আগে কেন বললো না। সবসময়ই এমন ভুলোমনা কেন উনি? কিন্তু রাগ করেও তো উপায় নেই। আবার নিজে গিয়ে দিয়ে আসাও তো সম্ভব হচ্ছে না। আপনার এই প্রয়োজন, এই উৎকণ্ঠা লালামুভের থেকে আর কে ভালো বুঝতে পারে? সমাধান এক অ্যাপেই।

 

গ্রোসারি ডেলিভারি

৫. বাজার করে বিপদে

অফিস থেকে ফেরার পথে সুপারশপে চলমান কোনো বড় অফারের ব্যানার চোখে পড়লো। আজই শেষ দিন। হুট করে ঢুকে পড়লেন শপে। ডিসকাউন্টের লোভে কেনাকাটা করতে করতে সারা মাসের বাজার করে ফেলেছেন। বিল মিটিয়ে ব্যাগগুলো নিয়ে বাড়ির পথ ধরতেই বসের ফোন। আর্জেন্ট অফিসে যাওয়া লাগবে, বড় একটা ঝামেলা হয়ে গেছে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছেন। এসব নিয়ে অফিসে যাওয়ায় সম্ভব না। আবার বাড়িতে এগুলো পৌঁছানোও জরুরি, পঁচনশীল দ্রব্যও আছে। এমন পরিস্থিতিতেও আছে লালামুভ। সবকিছু রাইডারের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে চলে যান অফিসে।

৬. লাঞ্চ ডেলিভারি

ছেলেটা সকালে রাগ করে না খেয়েই কলেজে চলে গেল। দুপুরের খাবারটাও নিয়ে যায়নি। আইবিএসের সমস্যায় ভুগছে ছেলেটা। বাহিরের খাবার খেলেও সমস্যা, না খেলেও সমস্যা। ছোট বাচ্চা মেয়েটাকে নিয়ে এই তপ্ত দুপুরে কলেজে গিয়ে খাবার দিয়ে আসাও সহজ নয়। উৎকণ্ঠায় কোনো কাজে মনোযোগও দিতে পারছেন না। কি প্রয়োজন এই টেনশনে মনে পুষে রাখার। লাঞ্চ লালামুভ করে দিন। 

 ৭. বাসা শিফটিং

১৫ বছর আগে যখন ঢাকা এসেছিলেন তখন একটা তোষক আর একটা বালিশ ছাড়া আর কিছুই ছিল না। আজ ঘরে এত জিনিস যে বাসা শিফটিং এর কথা চিন্তা করতেই জ্বর চলে আসে। বাসায় আর কোনো পুরুষ মানুষও নেই যে শিফটিং এর কাজে হেল্প করতে পারে। একদিকে এত ভারী ভারী জিনিসপত্র ৫ তলা থেকে নামাতে হবে অন্যদিকে নতুন বাসায় সব আনলোড করে ৬ তলায় উঠাতে হবে। সেখানে লিফটও নাই। এমন পরিস্থিতিতেও লোডিং আনলোডিং বা লেবার সার্ভিসসহ বাসা বদল সার্ভিসের জন্য ১ টন বা ২ টনের ট্রাকও পেয়ে যাবেন। ঢাকায় বাসা বদল এখন আরো সহজ।

৮. ক্যাটারিং সার্ভিস

চাকরি এখন সোনার হরিণ। তাই ছোটখাটো ব্যবসার দিকে অনেকেই ঝুঁকছে। অনেক মেয়েরাই পরিবারের চাপে চাকরি করতে পারে না। ভালো রান্না জানা থাকলে তাঁরা সহ যে কেউই কিন্তু ক্যাটারিং এর বিজনেস শুরু করতে পারে। যানজটের শহর ব্যাচেলর চাকরিজীবীরও শহর। আবার সব অফিসে দুপুরের লাঞ্চের ব্যবস্থাও থাকে না। আর তাই ক্যাটারিং সার্ভিসের বিশাল এক চাহিদা আছে শহরজুড়ে। অসংখ্য উদ্যোক্তার হোমমেইড সুস্বাদু ফুড ক্যাশ অন ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে সময়মতো পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে লালামুভ। আপনারটা কেন নয়?

 

প্রযুক্তি আমাদের নগরজীবনকে ক্রমশ সহজতর করে যাচ্ছে। তাই এর সাথে তাল মিলিয়ে না চলতে পারলে সমস্যায় জর্জরিত শহুরে জীবনে না আসবে গতির আনন্দ না থাকবে যতির আয়েশ। মানুষের দৈনন্দিন নানা সমস্যা মোকাবেলায় লালামুভ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রায় আপনাকে স্বাগতম।

 

 

Read more