বাসা কিংবা অফিসের ফার্নিচার খোলা এবং ফিটিং করার সময় কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত

featured image

ঘর হোক কিংবা অফিস, একই ধরণের ফার্নিচার একই জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে থাকলে একঘেয়েমি চলে আসে। আর এখনকার ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে কিছুদিন পরপর রি-ইনোভেশন করতে হয়। 

তবে বাসা কিংবা অফিসের ফার্নিচার চেঞ্জ  করা কি এতটাই সহজ? ফার্নিচার খোলা এবং ফিটিং করতে রীতিমতো ঘাম ছুটে যায়। কিন্তু ঘরে নান্দনিকতা ফিরিয়ে আনতে এটি না করেও বা উপায় কি?

তবে গোছানো ভাবে, আগের থেকে কিছু প্রিপারেশন নিয়ে রাখলে কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

b5f7abbd-e1fe-460c-90f3-b3497a8fffc9-home-moving-tips-cover

ফার্নিচার খোলার আগে করার আগে যে প্রস্তুতি নিতে হবে:

১. যদি অফিসের ফার্নিচার পরিবর্তন করা হয়, কিংবা অফিস পরিবর্তন করা হয় সেক্ষেত্রে কর্মীদের আগে ভাগে জানিয়ে দেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে তারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলো গুছিয়ে রাখতে পারবে। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলো সুরক্ষিত থাকবে।

২. বাসার ফার্নিচার কোনো কারণে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাসার সবার অংশগ্রহণ থাকলে বিষয়টা খুবই সুন্দর হয়। বাসার বড় ফার্নিচার যেমন: ড্রেসিং টেবিল,  শোকেস, আলমারি এসব কোনো কারণে শিফট করতে হলে সেক্ষেত্রে সেগুলোর ভেতরকার জিনিসগুলোকে প্রথমে সুন্দর করে গুছিয়ে প্যাক করে রাখতে হবে। এতে পরবর্তীতে ফার্নিচার ফিটিং এর পর জিনিসপত্র পুনরায় গোছাতে সহজ হবে।

৩. বাসা হোক বা অফিস ফার্নিচার কোনো কারণে মুভ করতে হলে সবসময় চেষ্টা করবেন হাতে সময় নিয়ে কাজ করতে। তাহলে কাজটি সুন্দর হবে। নতুবা অনেক জিনিসপত্র ভাঙার সম্ভাবনা থাকে। 

৪. যন্ত্রপাতির বক্স বা টুলস বক্স সাখে রাখবেন। স্কু ড্রাইভার, টেস্টার, প্লাস, হাতুরি এগুলো হাতের কাছে রাখার চেষ্টা করবেন। 

৫. যথাযথ লোকবল না থাকলে নিজে নিজে ফার্নিচার মুভমেন্ট করতে পারবেন এত বড় সাহস না করাই ভালো। বিশেষ করে এয়ার কন্ডিশন,  গিজার, আইপিএস, এ ধরণের জিনিসগুলো পেশাদার মানুষকে দিয়ে মুভ করানো ভালো। যারা প্রফেশনাল থাকে তারা দ্বায়িত্ব এবং অভিজ্ঞতার সাথে কাজ সম্পন্ন করে থাকে, এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কম হবে। এক্ষেত্রে লালামুভ থেকে প্রফেশনাল কর্মীরাও সাহায্য করতে পারে।

৬. কোনো কারণে যদি পুরনো ফার্নিচার বদল করে নতুন ফার্নিচার সেট করা হয় সেক্ষেত্রে পুরোনো ফার্নিচার গুলো যথাযথ স্থানে রাখার ব্যবস্থা আগে থেকে ঠিক করে রাখবেন নাহলে ঘর এলোমেলো মনে হবে।

৭. বাসায় ছোটো বাচ্চা থাকলে তাদের নিরাপদ দূরত্বে রেখে এরপর কাজ করা শুরু করবেন।

 

ফার্নিচার খোলার সময়ে যে বিষয়গুলো  গুরুত্বপূর্ণ:

 

woman-assembling-diy-chair-from-scratch (1)

১. সর্বপ্রথম যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হলো সাবধানতার সাথে কাজ করতে হবে। কোনো জিনিস যেনো নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

২. যদি ঘরের ফার্নিচারের স্থান পরিবর্তন করা হয় সেক্ষেত্রে পুরোনো স্থানের ফার্নিচার খুলে কোথায় সেট করতে হবে সে স্থানটি আগে থেকে ঠিক করা আছে কি না সেদিকে নজর দিতে হবে। স্থান নির্বাচন করার আগে সেখানে ফার্নিচারটি দেখতে কেমন লাগবে, সে স্থানের সাথে মানাবে কি না সেটি আগে ভাবতে হবে। 

৩. যে স্থানে ফার্নিচার সেট করতে হবে সে জায়গাটি ভালো ভাবে পরিষ্কার করতে হবে। কোনো ময়লা পড়ে থাকলে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে।

৪. যদি পুরাতন ফার্নিচার পরিবর্তন করে নতুন ফার্নিচার সেট করা হয় সেক্ষেত্রে পুরোনো ফার্নিচার গুলো যদি অন্য কোথাও সেট করার চিন্তাভাবনা করে থাকেন তবে সেখানে সেট করতে হবে। অথবা যদি সেল করে থাকেন কিংবা কাউকে দিয়ে থাকেন দ্রুত তাদের দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কিংবা স্টোর রুমে রাখতে পারেন। চেষ্টা করবেন এমন জায়গায় রাখতে যেখানে কারো আসা যাওয়ায় সমস্যা না হয়।

৫. ইলেকট্রনিক কোনো বস্তু যেমন: টিভি, ফ্রিজ এধরণের জিনিস হলে বৈদ্যুতিক লাইন ঠিকমত বন্ধ করা হয়েছে কি না সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৬. কাচের গ্লাস সহ কোনো ফার্নিচার যেমন: শোকেজ, ড্রেসিং টেবিল এগুলোর কাঁচকে যথাযথ ভাবে কস্টেপ দিয়ে মুড়িয়ে এরপর পরিবর্তন করতে হবে তাহলে কোনো ধরণের ক্ষতি হবে না।

৭.বড় বড় ফার্নিচার যেমন : ওয়ারড্রব,  শোকেজ, আলমারি সরানোর সময় সেগুলোর ভেতরের জিনিসগুলো আলাদা কার্টুন বা ব্যাগে রেখে খালি করে নিবেন। তাহলে সরাতে অনেক সুবিধা হবে। 

৮. ফ্রিজ বা বড় ফার্নিচার গুলো সরানোর সময় নিচে কোনো বস্তা বা কার্টুন দিয়ে সেই বস্তা বা কার্টুন ধরে টান দিয়ে খুবই দ্রুত সরানো যায়।

৯. ফার্নিচার খোলার সময় সেখানে তরল পদার্থ থাকলে সেগুলো সরিয়ে ফার্নিচারগুলো সরাবেন।

১০. ফার্নিচারগুলো খোলার সময় কোনো নাট, স্ক্রু থাকলে সেগুলোকে যত্ন করে রাখবেন। কেননা, এগুলো হারিয়ে গেলে বিপদে পড়বেন।

 

ঝামেলাহীন হোম শিফটিংএ লালামুভেই সমাধান। লালামুভে হোমশিফটিং এখন আরো সাশ্রয়ী রেটে!!

 

ফার্নিচার সেট করার সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে:

ফার্নিচার নতুন হোক বা পুরোনো কোনো নতুন জায়গায় সেট করা মানে হচ্ছে নতুন করে আবার সবকিছু গোছানো। ঘর কিংবা অফিসকে নতুন একটা লুক দেওয়া। 

Furniture assembly concept illustration. Workers of manufacture with professional tools. Help from furniture store professional. Flat cartoon illustration

এজন্য যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে:

১. কোনো জায়গায় ফার্নিচার সেট করার আগে সবসময় ভাবতে হবে, এই ফার্নিচারটাকে এই জায়গায় মানাবে কি না। মনে মনে রুমটাকে চোখ বন্ধ করে চিন্তা করে ফেলতে পারেন। কারণ, একবার ফার্নিচার সেট করে ফেললে আবার চেঞ্জ করতে চাইলে ডাবল পরিশ্রম করতে হব,।

২. যে জায়গায় ফার্নিচারটি সেট করতে হবে সে জায়গাটি পরিষ্কার করে নিতে হবে। এতে আপনার জায়গাটি দেখতেও সুন্দর লাগবে।

৩. ফার্নিচার সেট করার সময় সাবধানতার সাথে সেট করতে হবে। 

৪. সেট করার পর ফার্নিচার ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর পুরো ঘর ধীরে ধীরে গুছিয়ে ফেলবেন।

লালামুভ মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন 

ঘরে সবসময় অল্প ফার্নিচার রাখার চেষ্টা করবেন,  এতে আপনার ঘর অনেক সুন্দর এবং পরিপাটি দেখাবে। বাসা হোক কিংবা অফিস সবসময় গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন।

এতে করে আপনার ঘর কিংবা অফিস  দেখতে সবসময় সুন্দর এবং আকর্ষণীয় মনে হবে। 

Read more